বিএনপি ‘জনসমর্থহীন’ হয়ে পড়ায় এখন খালি কলসির মতো বেশি বাজে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, কোন দুঃখে বিএনপিকে মানুষ ভোট দেবে! আবার কি পেট্রোল বোমা মারার জন্য, পাঁচশ জায়গায় আবার একসাথে বোমা বিস্ফোরণের জন্য, আদালতে বোমা বিস্ফোরণের জন্য এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়েতে যেভাবে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল সেধরণের হামলা হওয়ার জন্য……কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত সংসদ সদস্যরা মৃত্যুবরণ করার জন্য, বাংলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমানের উৎপত্তি হওয়ার জন্য!’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক ফোরামের প্রতিনিধিরা বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে আসেন।
তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, নাঈমুল ইসলাম খান, মীর মনিরুজ্জামান, মফিজুর রহমান, রিমন মাহফুজ এসময় সম্প্রচারমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন এবং আইন বাস্তবায়নে সরকারের পাশে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করলে মন্ত্রীও তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
‘নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, তারা বিভিন্ন সময়ে যদি এ ধরণের কথাবার্তা না বলেন, তাদের যে বুদ্ধি আছে এটা তো জনগণ জানবে না। এজন্যই তারা কথাগুলো বলেন। আর সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত গত নির্বাচন কমিশনে বিএনপির ঘোরতর সমর্থকও একজন সেখানে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সার্চ কমিটি যে সঠিকভাবে কাজ করে, নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকালেই সেটি বোঝা যায়। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’
বাংলাদেশে আর কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, রুটিন কাজ করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না। সব দেশে তাই হয়, আমাদের দেশেও তাই হবে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ভারত বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ সেখানে হয়, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের সব দেশে হয়, জাপানে হয়, অস্ট্রেলিয়াতেও যেভাবে হয়, আমাদের দেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে।’