দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় ছাই এর সাথে কালো মাটি মিশিয়ে ইট ভাটার মালিকদের কাছে কয়লা হিসেবে বিক্রি করছে এক শ্রেণির প্রতারকরা। গত ৩ বছর ধরে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা বিক্রি বন্ধ হওয়ায় ছাই এর সাথে কালো মাটি মিশিয়ে ইট ভাটার মালিকদের কাছে কয়লা হিসেবে বিক্রি করছে এক শ্রেণির প্রতারকরা।
আরও পড়ুন…মা আমেনা বালিকা ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে “পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান”
এলাকার কিছু অসাধু কয়লা ব্যবসায়ীরা ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর এলাকার অটো রাইচ মিল থেকে ছাই ক্রয় করে এনে কয়লা খনি এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মজুদ রেখে কয়লা খনির ভূগর্ভ থেকে উত্তোলনকৃত পানির সাথে অ্যাস উঠে আসে ভূ-পৃষ্টের মাটিতে পলি জমার মত হয়ে থাকে সেই কালো কাদা মাটি শুকিয়ে ডাস্ট করে ছাই এর সাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা টনে কয়লা বিক্রি করছে ইট ভাটার মালিকদের কাছে।
ইট ভাটার মালিকেরা সেই কয়লা ক্রয় করে ইট ভাটায় ব্যবহার করে চরম প্রতারনার শিকার হচ্ছে। আর এই অবৈধ্য কয়লা ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার ইট ভাটার মালিক কাসেম আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম কয়লার গুড়া, কিন্তু ভাটায় পোড়ানোর পর দেখা যায় তার কোন ট্যাম্পার নাই এবং ইট পোড়ানো যায় না।
আরও পড়ুন…নিঝুমদ্বীপে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস
তখনই বুঝতে পারি এসব মাত্র ছাই। কয়লা খনি এলাকার ইউসুফ আলী জানান, ১৮ থেকে ১৯ জন এই এলাকায় প্রতারণা করে ছাই কে কয়লা হিসেবে বিক্রি করছেন। এতে ইট ভাটার মালিকেরা প্রতারিত হচ্ছে। এই প্রতারণা চলছে প্রায় ৩ বছর ধরে। আপর দিকে প্রকৃত কয়লা ব্যবসায়ীদের মানক্ষুন্ন হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
ইবাংলা/জেএন/০৮ অক্টোবর ২০২২