মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বনগ্রাম গ্রামের একটি সরকারি পুরনো ব্রিজ নিলাম ছাড়াই ভেঙে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে,ভেঙে ফেলা সেতুটির নিলাম হয়নি এখনও,কাজের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।সেতু ভাঙার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিলো না।
আরও পড়ুন…ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বঙ্গভবনে দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন,মীর গোলাম ফারুক ব্রিজটা পঞ্চাশ হাজার টাকা সোহরাবসহ আরো দুই-তিনজনের কাছে বিক্রি করে দিছে এবং ব্রিজ ভাঙতে অনুমতি দিয়ে গেছে কিছু হইলে সে বুঝবে।মীর গোলাম কেউকে জানায়নি,না জানিয়ে সে ব্রিজ ভাঙতেছে।ইউএনও অফিসে রেজিষ্ট্রেশন করা লাগে সেটাও তিনি করেননি।
গোপালপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাছের বলেন,এই ব্রিজ ভেঙে উপজেলা চেয়ারম্যান ব্রিজের নিচ দিয়ে পাইপ দিয়ে দিবে এইজন্য ব্রিজটি ভাঙছে।
গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন,এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না বা কেউ এই বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়ও নাই আমি কোনো লিখিত অভিযোগও দেয়নি এলজিইডি অফিসে।
উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল বলেন,কে বা কাহারা ব্রিজটি ভাঙছে সেটা আমার জানা নেই তবে আমি গতকাল গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।এবং উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন,এটা হলো বাজে একটা ব্রিজ মানুষের জন্য ক্ষতিকর,এটা মানুষের চলাচলের অযোগ্য,ব্রিজটা স্থানীয় লোকজন ভাঙতেছে,ব্রিজের উপর দিয়ে মানুষ উঠতে পারে না,উঁচু ব্রিজ এটা মানুষজন ভাঙতেছে এবং সেই ভাঙার টাকা আমার দেওয়া লাগতেছে।ব্রিজটার মধ্যে কিছু নাই।ব্রিজ ভেঙে কেউ লাভবান হবে এরকম কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন…রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাজিব বাহিনীর অবৈধ বিদ্যুৎ ওয়াসার সংযোগ
সরকারি সম্পদ নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভাঙার এক্তিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,একটা প্রসিউডর মেইনটেন কইরা ব্রিজ ভাঙা হয়না ঝামেলা থেকে যায়।দু-হাজার পাঁচ হাজার টাকা ভাঙতে লাগে এটা সরকার দিবেনা।এটা একটা ভালো কাজ এই ভালো কাজে তোমাদের লাগবে না।এলাকার স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্তই আমাদের নিতে হয়।অনেক ভাবে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করা লাগে।
ইবাংলা/জেএন/১০অক্টোবর ২০২২