বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কোর্টেও বিচারক পদসহ ৫টি পদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ধরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট এবং তালতলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় দাপ্তরিক কাজসহ দৈনন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি এবং মুখ থুবড়ে পড়েছে নির্বাহী আদালতের বিচারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আরও পড়ুন…জাবি শিক্ষক সাবেরা সুলতানার দুইটি গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ
জানা গেছে, গত ২ আগস্ট বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লা বিন রশিদ পদোন্নতি পেয়ে বদলি হয়ে চলে গেলে একই জেলার পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সাদিক তানভির আমতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল ইসলাম ৩০ জুন বদলি হলে এখন পর্যন্ত সহকারী কশিনার (ভূমি) পদে কাউকে পদায়ন করা হয়নি।সে দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
অপরদিকে তালতলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস পাল ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর বদলি হয়ে যাওয়ার পর সেখানেও আর কোনো সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদায়ন করা হয়নি। সেই দায়িত্বও পালন করছেন সাদিক তানভির।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সাদিক তানভির একইসঙ্গে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক ও তালতলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৫টি পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাদিক তানভীর দুই উপজেলার ৫টি পদের দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করে বলেন, ৫টি পদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনোটিই সঠিকভাবে পালন করা যায় না। তালতলী উপজেলা থেকে আমতলী উপজেলার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। তারপরও সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। আসা যাওয়াসহ দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন…নড়াইলে এলজিএসপি’র অগ্রগতি ও অর্জন নিয়ে কর্মশালা
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, আমতলী ও তালতলী উপজেলার শূন্য পদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শূন্য পদগুলোতে দ্রুত কর্মকর্তা পদায়ন করা হবে।
ইবাংলা/জেএন/১১অক্টোবর ২০২২