মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসাঃ শ্রাবনী আক্তার-(২১) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে। তবে অপারেশনের ২০দিন পার হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ছে ওই গৃহবধু। এদিকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান স্থানীয় মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে এ অপারেশন করেছেন বলে ভূক্তভোগী পরিবারের দাবী। মঙ্গলবার (১১অক্টোবর ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই গৃহবধুর পরিবার।
ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের অসহায় ইউনুস হাওলাদারের ৯মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন…আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের দাবীতে মন্ত্রীকে আইনজীবীর নোটিশ
সেখানে ওই গৃহবধুর আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান বলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর পেটের বাচ্চা মারা গেছে। পরে স্থানীয় মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে ওই গৃহবধুকে ভর্তি করা হয়। এবং ওই ক্লিনিকে ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান অপারেশন করে অন্তঃসত্ত্বা শ্রাবনীর পেটের মরা বাচ্চা বের করেন।
ওই ক্লিনিকে ৫দিন থাকার পরে ওই গৃহবধুকে বাড়ি যেতে বলেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই গৃহবধু বাড়িতে গেলে পূনরায় অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টের বেডে দেয়া হয়। অপারেশনের ২০দিন পার হলেও ওই গৃহবধু এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ছে।
আরও পড়ুন…কোম্পানীগঞ্জে খাল পাড় থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
ভূক্তভোগী ওই গৃহবধুর স্বামী ইউনুস অভিযোগ করে বলেন, ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমার স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান স্থানীয় মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে অপারেশন করেন।
কিন্তু আমার স্ত্রী সুস্থ না হয়ে পূনরায় অসুস্থ হয়ে পরেন। তাকে আমরা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসছি। সে এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। আমার স্ত্রী হয়তো আর বাজবেনা। আমি ওই ডাক্তারের বিচার চাই। আমি ডাক্তারের ও ক্লিনিকের নামে মামলা করবো।
মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ রোকনউজ্জামান বলেন, গৃহবধু শ্রাবনীর অপারেশন আমাদের ক্লিনিকে ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান করেছেন। এবং সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছেন।
ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান বলেন, আমি ওই গৃহবধুকে মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে অপারেশন করেছি।
আরও পড়ুন…ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব:বাসায় হামলা কিশোর গ্যাংয়ের,আহত ২
কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, ওই গৃহবধুর পরিবারকে সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ ও আদতালতে মামলা করার জন্য বলে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, ওই গৃহবধুর পরিবারকে ডাক্তারের ও ক্লিনিকের নামে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
ইবাংলা/জেএন/১১অক্টোবর ২০২২