বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচনে আসুন।”
রোববার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে অর্ধশতাধিক ভারতীয় মোবাইলসহ যুবক আটক
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছে সেইফ এক্সিট মানে হলো নির্বাচন। ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচনে আসুন। আমরা প্রস্তুত ভোটে আসেন। জনগণ ভোট না দিলে আমরা নিরাপদ প্রস্থান করব।’
‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কখনও পালাইনি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই তো পালিয়ে আছে।
জনগণের প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেভাবে লাঠি নিয়ে নেমেছে, অগ্নিসন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে, তাতে ফখরুল সাহেবদেরই সেইফ এক্সিট (নিরাপদ রাস্তা) খুঁজতে হবে। আওয়ামী লীগের কাছে সেইফ এক্সিট মানে হলো নির্বাচন। ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচনে আসুন। আমরা প্রস্তুত ভোটে আসেন। জনগণ ভোট না দিলে আমরা নিরাপদ প্রস্থান করব।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে কয়েক হাজার লোক হলেই বলা হয় লাখ লাখ। চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি হলেও ময়মানসিংহ ও খুলনাতে এতো লোক হয়নি। মরা গাঙে কিছুটা ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশে জনসমাগম দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। জনসমাগম কাকে বলে তা দেখতে বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগের একটা জেলা সমাবেশে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
আরও পড়ুন…মধুপুরে ৭ দফা দাবিতে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের গণ অনশন
১৩ বছর খরার পর বিএনপির আন্দোলনের ‘মরা গাঙে জোয়ার এসেছে’ বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনতো খরার মধ্যে ছিল, এখন একটু বৃষ্টি দেখেছে। ১৩ বছরইতো মরা গাঙে জোয়ার আসে নাই, এখন জোয়ার দেখেছে। কিছু ঢেউ দেখতে পাচ্ছে, এটাকেই তারা ভাবছেন লক্ষ লোকের ঢেউ।’
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজেদের অতীত ভুলে যাবেন না। মার খেতে-খেতে আমাদের কী অবস্থা হয়েছে! আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ফুটপাতে একুশে ফেব্রুয়ারির মিটিং পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। বাধা কাকে বলে? বিএনপির কোনও নেতা আজ পর্যন্ত শিকার হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম আজকে নাই। কতবার তাকে রাস্তায় পেটানো হয়েছে। মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছে। একেবারেই সাধারণ একটি সমাবেশে আব্দুস সামাদ আজাদকে রেহাই দেওয়া হয়নি। বিএনপি এখন বাধার কথা বলে।’
আরও পড়ুন…বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারাতো এখন রাস্তায় নামছে। জাতীয় পার্টি কালকে বলছে, তাদেরই রাস্তায়ই নামতে দেওয়া হবে না। আপনারা সাংবাদিকরা অনেকেই জানেন, কিনা করেছে তারা। বাধা কাকে বলে, বিএনপি আমলে পাঁচ বছরে পাঁচ দিনও আমি ওবায়দুল কাদের ঘরে থাকতে পারিনি। ফখরুল সাহেবরা (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বাসায় আছেন। সবাই ঘরে এসির নিচে আছে।’
ইবাংলা/জেএন/২৩ অক্টোবর ২০২২