আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিবিএসের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। যদিও গত ১১ অক্টোবর মূল্যস্ফীতি হালনাগাদ তথ্যের কথা জানিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আরও পড়ুন…গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার
বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্ট মাসে যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে তা সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ওই সময়ের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনোই ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
অন্যদিকে বিবিএসের তথ্যানুযায়ী মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, মজুরি সে হারে বাড়েনি। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত আগস্ট মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা হয় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, মজুরি সেই হারে বৃদ্ধি না পাওয়ায় ভোক্তার প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগে এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। সেখানে আমাদের ৯ শতাংশের কিছু ওপরে। বর্তমান সংকটে বাংলাদেশের একার পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। আমাদের অপচয় রোধ করতে হবে।
ইবাংলা/জেএন/২৫ অক্টোবর ২০২২