জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ারের চাকরি করতেন কামরুন্নাহার শিমুল। রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। তৃণমূলের জনপ্রিয়তা নেতাকর্মীদের চাপাচাপিতে জয়পুরহাটের রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের জন্য দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
গত ৮ অক্টোবর রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান তিনি। এরপর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন শিমুল। ৯ অক্টোবর থেকে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ার পদ থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিলে অফিস গ্রহণ তা করেন। কিন্তু ১৩ অক্টোবর রুকিন্দীপুর ইউনিয়নে নৌকার মাঝি পরিবর্তন করা হয়। এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান কবিরকে। দলীয় মনোনয়ন ও চাকরি হারিয়ে দিশেহারা শিমুল।
কামরুন্নাহার শিমুল বলেন, তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় বঞ্চিতদের ইশারায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বির্তক সৃষ্টি করা হয়। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়।
কামরুন্নাহার শিমুল আরও বলেন, মনোনয়নের জন্য আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। মনোনয়ন ফেরত পেলে আমি উপকৃত হতাম। ইউনিয়নের আমার অনেক সাপোর্টার আছে। ৯৫ শতাংশ সাপোর্টার আমার। তদন্ত করে দেখলেই তা জানতে পারবে। আমাকে বাদ দেয়া কারণ হিসেবে আমার মনে হচ্ছে ওরা (মনোনয়ন বঞ্চিতরা) হয়তো কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের কাজ সব সময় করেছি। কিন্তু চাকরির জন্য পদ-পদবী নেয়া হয়নি। চাকরি আগে কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি বলেন, আমার শ্বশুর মরহুম মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল চৌধুরী ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে তাকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলাখানায় বন্দি করা হয়, ১৯৭৭ সালে জেল খানায় বন্দি থাকা অবস্থায় রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচত হন।