বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীসহ প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন এর সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ৮ সাংবাদিক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম হাসানসহ দুই পক্ষের অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা জানান, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী বাদল খান তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে। মতিউর রহমান তার আধিপত্য দেখাতে গিয়ে ক্যাডার বাদল খানের মাধ্যমে তাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন…দক্ষিণ আফ্রিকায় নোয়াখালীর ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় বাদল খানের লোকজন। এ সময় মঞ্চে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এবং বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলার বেশিরভাগ নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। সবাই চুপ ছিলেন। শেষে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করতে পেরেছে। তবে তার মধ্যেই জেলার আটজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক ইমরান হোসেন টিটু নয়াদিগন্তকে বলেন, আহত সাংবাদিকরা লজ্জায় তাদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। তবে আজ রাতেই আহত সাংবাদিকদের সাথে মিটিং করবে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সেখানে হামলাকারীদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাদল খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন…শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ
তবে হামলার ঘটনা ঘটার শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের শান্ত হতে বলেন। তিনি এ বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস্ত দেন।এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইবাংলা/জেএন/৩০ অক্টোবর ২০২২