বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। একসময় অভিনয় নিয়মিত করলেও এখন বড় পর্দায় তেমন একটা দেখা মেলে না। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু অঘটনের জন্য ভয় ধরেছে অভিনেত্রীর মনে।
জানা যায়, ‘মি টু’ আন্দোলনের কারণে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলিউডে। ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাক তনুশ্রীর, এমনটাই চান ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ। তবু হার মানার পাত্রী নন তিনি।
আরও জানা যায়, বলিউডের এই বাঙালি অভিনেত্রীর দিন কাটছে নিরাপত্তাহীনতা, জীবন সংশয় ও মানসিক অবসাদ নিয়ে। তাকে মেরে ফেলাও হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে তনুশ্রী বলেন, আমি ভেঙেছি, মচকে গেছি তবু শেষ হইনি। ওই সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীর জীবনে কীভাবে এমন অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত বলেন।
আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫, হাসপাতালে ৮৭৩
তিনি বলেন, গত দেড় বছর ধরে ব্যাপারটা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, আমার বিরুদ্ধে অদ্ভুত কিছু ষড়যন্ত্র চলেছে বলিউডে। ২০১৮ সালের আগে কিন্তু সব ঠিকঠাক ছিল। আমেরিকা থেকে থেকে ফিরলাম ২০২০ সালে। তার পর সবার সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছিলাম। বহু ছবির চুক্তিতে সই করলাম। সব কিছু ভালো চলছিল। মুম্বাইয়ে ফিরে আমি অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করছি। আমার সঙ্গে কাজ করতে অনেকে আগ্রহ দেখায়। কাজ পাচ্ছি, চুক্তিও হচ্ছে। তার পরেই পরিচালক-প্রযোজকরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। এসব কিছুর জন্য দায়ী বলিউডের মাফিয়া-রাজ।
এমন ঘটনার পেছনে তার বন্ধুবান্ধবই জড়িত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমারই কিছু বন্ধুবান্ধব। নাম বলতে পারব না। তবে এটুকু জানি যে, অপরাধ জগতের কিছু লোক ভাড়া করে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমার পিছনে। যখন উজ্জয়িনীতে ছিলাম, আমায় ঋষিতুল্য এক মানুষ অদ্ভুত তথ্য দিয়েছিলেন।
বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের কিছু তান্ত্রিক আমার ওপর কালোজাদু ধরনের কিছু প্রয়োগ করতে চলেছে। পদ্ধতিটিকে ‘মারণক্রিয়া’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও আমি ভালো করে বুঝিনি। এ ধরনের কিছুর অস্তিত্ব আছে, তা-ই জানতাম না। এর পরই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির ব্রেক ফেল থেকে শুরু করে খাবারে বিষ মেশানোর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র টের পাই আমি।তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, বলিউডে এর পর থেকেই আর কাজ পাচ্ছেন না তিনি। এর পিছনে বলিউডের মাফিয়া রাজও জড়িত বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন…টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে ‘দুঃসংবাদ’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮-য় ‘মি টু’ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলিউডে যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার কথা ফাঁস করেছিলেন তনুশ্রী। সন্দেহভাজন হিসেবে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকরের নাম। তখনই আঙুল তুলেছিলেন নানা, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য ও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দিকে। এরপর ২০২১ সাল থেকে নানা ধরনের হুমকি পেয়ে আসছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
ইবাংলা/জেএন/৩১ অক্টোবর ২০২২