হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের লেখাপড়া দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। রবিউল ও তার পিতা নাজু মিয়া বুধবার (৯ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে আসেন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে। তখন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জেলার সদর উপজেলার হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
এই সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে তাকে লেখাপড়া করানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি তাকে দ্রুত উপবৃত্তির ব্যবস্থা করার জন্যও তিনি বলেন। এসময় প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করেন।
আরও পড়ুন…বনজ কুমারের মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে
শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম জানান, পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় এতোদিন তার লেখাপড়া বন্ধ ছিল। রবিউল বলেন- ‘এখন জেলা প্রশাসক স্যারের জন্য আবার স্কুলে যেতে পারব।’ শিক্ষার্থী রবিউলের বাবা নাজু মিয়া বলেন- ‘আমি জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ।’
হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান- ‘বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। সেই মোতাবেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বিনাবেতনে লেখাপড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ‘ছেলেটি মেধাবী । তাকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সবকিছু ফ্রি করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করা হয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই বিমান তৈরির শখ জাগে কিশোর রবিউলের। অবশেষে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তৈরি করে চালকবিহীন বিমান। তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ায় খোলা আকাশে এখন উড়ছে বিমানটি। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছে গ্রামবাসীসহ দূর-দূরান্তেরর লোকজন। জেলার সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের দিনমজুর নাজু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে রবিউল ইসলাম। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা।
ইবাংলা/জেএন/১০নভেম্বর ২০২২