কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার রায় ২৩ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। তবে এদের মধ্যে কারাগারে একজনের মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল রায়ের আদেশ দেন।
এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ১৮ জন আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে মো. হাশেম প্রকাশ অংকু নামের এক আসামি কৌশলে পালিয়ে গেছে।। এছাড়া মামলাটির বিচারিক কাজ চলাকালে আগের ধার্য তারিখে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির ভাই স্বজনসহ চিহ্নিত ইয়াবাকারবারিরা উপস্থিত থাকলেও মঙ্গলবার তাদের কেউ উপস্থিত ছিল না।
আরও পড়ুন…আটার দাম এক লাফে কেজিতে বাড়ল ৬ টাকা
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- নুরুল হুদা মেম্বার, শাহ আলম, আবদুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমদ, মো. তৈয়ব, জাফর আলম, আবু তৈয়ব, আলী নেওয়াজ, মো. আইয়ূব, কামাল হোসেন, নুরুল বশর, আবদুল করিম, দিল মোহাম্মদ, ও মো. শাকের মিয়া, মো. কাশেম প্রকাশ আকবর আলী।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর আদালতের সাধারণ নথি নিবন্ধক (জিআরও) এসআই আবদুল মোতালেব বলেন, জেলা জজ আদালত থেকে আমাদের কাছে কারাগারে পাঠানোর জন্য ১৭ জন আত্মসমর্পণ করা ইয়াবাকারবারিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, মামলার বিচারিক কাজের সর্বশেষ দিন ১৫ নভেম্বর কাঠগড়ায় ১৮ জন আত্মসমর্পণ করা ইয়াবাকারবারি উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১ জন কৌশলে পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ১০২ ইয়াবাকারবারির বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর ওই দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এই দুটি মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কারাগারে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, সাজা নিশ্চিত জেনে অনেক চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন…ঢাকা- কক্সবাজার রুটে জুন মাস থেকে ট্রেন চলবে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে ১০২ জন ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করে। মামলা চলাকালে সোহেল নামে এক আসামি কারাগারে মারা গেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩০টি দেশীয় তৈরি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ইবাংলা/জেএন/১৫ নভেম্বর ২০২২