আদনান ওকতার নামে সেই ‘ধর্মগুরুর’ ৮,৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

নিজেকে পরিচয় দিতেন ধর্মগুরু হিসেবে। টেলিভিশনের পর্দায় জীবনের পাঠও দিতেন। টিভির পর্দায় তাকে ঘিরে থাকতো স্বল্পবসনা নারী। আদনান ওকতার নামে সেই কথিত ধর্মগুরু। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন তুরস্কের একটি আদালত।

ইস্তাম্বুলের এক আদালত এক দশক আগের পুরোনো এক মামলার পুনর্বিচারে এ সাজা ঘোষণা করেন। ৬৬ বছর বয়সী আদনান ওকতারের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, চরবৃত্তি, যৌন নিগ্রহ, শিশুদের ওপর লালসা মেটানোর অভিযোগ ছিল।

আরও পড়ুন…১০০ কোটি তরুণ-তরুণী শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে

টেলিভিশনে নিজেকে মুসলিম মতাদর্শ প্রচারক আখ্যা দিতেন আদনান ওকতার। আদনানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন তুরস্কের ধর্মীয় নেতা-ব্যক্তিরা। অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১৮ সালে ইস্তানবুল পুলিশ আদনানকে হেফাজতে নেয়। তার সংগঠন এবং অনুগামীদেরও ধরপাকড় করা হয়।

এর পর ২০২১ সালে এই বৃদ্ধকে যৌন নিপীড়ন, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন, জালিয়াতি, রাজনৈতিক, সামরিক গুপ্তচরবৃত্তিসহ কয়েকটি অপরাধের জন্য ১ হাজার ৭৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতে সেই রায় বাতিল করা হয়। পুনর্বিচারে ইস্তাম্বুলের উচ্চ আদালত যৌন নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে আদনান ওকতারকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া আরও ১০ জন সন্দেহভাজনকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ওই আদালত।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই কথিত ধর্মপ্রচারক স্বল্পবাসনা অনেক নারীদের দ্বারা পরিবৃত হয়ে টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হতেন। তিনি ওইসব নারীকে আদর করে ‘বিড়ালছানা’ বলে ডাকতেন। চড়া মেকআপে সেজে তাকে ঘিরে ধরে থাকতেন ওই নারীরা। তিনি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সৃষ্টিবাদ এবং রক্ষণশীল মূল্যবোধের প্রচার করতেন।

ইবাংলা/জেএন/১৭ নভেম্বর ২০২২

৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড