মাদারীপুরে ছেলের মদ পানের অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসায়।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মোড়ল বাড়ির বাবুল মিয়া দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত পাশের গ্রামে স্থাপিত চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসায় সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছিলেন। গত ২০ জুন ২০২২ তারিখে বাবুল মিয়ার ছেলে সামিউল হাসানকে দুই বোতল মদসহ মাদারীপুরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর থানায় একটি মামলা হলে সামিউল হাসান কিছুদিন জেল হাজতে ছিলেন। এই ঘটনায় নিয়ে এলাকার লোকজন ব্যাপক সমালোচনা করতে থাকেন। স্থানীয়রা সামিউল হাসানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সামিউল হাসান আদালত থেকে জামিন পাওয়া পর জেল থেকে ছাড়া পান। এতে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়েন এবং সামিউল হাসানকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। কিন্তু তারপরও স্থানীয়দের বিক্ষোভ চলতে থাকে সামিউল হাসানের পরিবারের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে সামিউল হাসানের বাবা বাবুল মিয়াকে তার দীর্ঘ বছরের কর্মস্থল চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তথা গভর্নিং বডি কর্তৃক ছেলের মদপান ও মদ নিয়ে পুলিশের কাছে আটক হওয়ার অজুহাতে গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে চাকুরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন সুনামের সাথে চাকুরি করলাম কিন্তু ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে জোরপূর্বক অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে চাকুরিচ্যুত করে। আমি নিজে কখনও ছেলের কোনো অন্যায় বা অপরাধের প্রশয় দেইনি, তাহলে আমাকে কেন শাস্তি দেয়া হলো?
এই বিষয়ে চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে জানতে চাইলে তারা জানান, স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা শিক্ষক বাবুল মিয়ার ছেলে সামিউল হাসানের মদপানের ঘটনায় উত্তেজিত ছিল। তাদের বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাবুল মিয়ার স্বাক্ষর গ্রহণ করে তাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
ইবাংলা/জেএন/২১ নভেম্বর ২০২২