লাগামছাড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। ফলে কমে গেছে সিলিণ্ডারের বিক্রি। এতে ক্রেতা বিক্রেতা দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত। সর্বশেষ গেলো ১০ অক্টোবর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এলপি গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ১ হাজার ২শ ৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
সেই সিদ্ধান্তের বাইরেও দফায় দফায় দাম বাড়ানো ঠেকানো যায়নি। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প দেখছেন না এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
এলপি গ্যাসের দাম একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
সেই নির্দেশ মানতে কমিশন নানা প্রক্রিয়া শেষে গেলো এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু কখনওই বেঁধে দেয়া দামে গ্যাস কিনতে পারেনি ভোক্তারা।
সর্বশেষ ১০ অক্টোবর বিশ্ববাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১,২৫৯ টাকা ঠিক করা হয়। সেটিও উপেক্ষা করে নিয়মিত বিরতিতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলছে এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এতে যার পর নাই বিরক্ত সাধারণ ক্রেতারা। দফায় দফায় দাম বাড়ার কারণে ভোক্তাদের আস্থা হারাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে কমে গেছে এলপি গ্যাসের বিক্রি।
আরও পড়ুন: সরবরাহ ঘাটতির আতঙ্ক দাম বাড়ার মূল কারণ: এফবিসিসিআই
সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়া প্রসঙ্গে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া ভোক্তাদের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয়।
লোকবলের অভাবে এলপি গ্যাসের বেধে দেয়া দাম কার্যকর করতে কমিশন নিজেও সরাসরি কোন উদ্যোগ নিতে পারছে না বলে জানান তিনি।