কাতার বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। চলতি কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
তবে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় পোল্যান্ডের বিপক্ষেও অঘটনের শঙ্কায় ছিল তারা। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে দিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলের সঙ্গে অলিভার জেরার্ডের রেকর্ড গড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল দিদিয়ের দেশমের দল।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচটি শুরু থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল। তবে শক্তিতে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স বারবার গোলমুখে শট নিয়েও জালের দেখা পাচ্ছিল না। শেষ ষোলোর তৃতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় ফ্রান্স। মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্য। প্রথম ২০ মিনিটের ভিতরেই চারটি কর্নার পায় এমবাপ্পেরা। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।
প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৪৪তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে ডান কোণা দিয়ে বল জালে জড়ান জেরার্ড। ফলে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়ে ফেলেন এসি মিলানের এ স্ট্রাইকার। ৫২টি গোল করে স্বদেশি থিয়েরি অরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন জেরার্ড।
বিরতি থেকে ফিরেও ফরাসিদের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্টেডিয়ামে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে এবার স্কোরশিটে নাম লেখান এমবাপ্পে। ৭৪ মিনিটে উসমান দেম্বেলের অ্যাসিস্টে ম্যাচের প্রথম গোল পেয়ে যান তিনি। যার ফলে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের ২৪ বছর পূরণের আগেই ৭ গোলের রেকর্ড ভেঙে দেন পিএসজির এই তারকা।
রেকর্ড গড়েও গোলের ক্ষুধা যেন থামেনি এমবাপ্পের। তাই ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে লিলিয়ান থুরাম উলিয়েনের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে নিয়ে যান তিনি। তবে ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টিতে স্পট কিক থেকে পোল্যান্ডের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করে ব্যবধান ৩-১ এ নিয়ে আসেন বার্সা তারকা লেভানডফস্কি।
এই জয়ে পোল্যান্ডের বিদায়ের নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে ফ্রান্সও চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে আজ রাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইংল্যান্ড-সেনেগাল ম্যাচের বিজয়ী দল।
ইবাংলা/টিএইচকে