দিনাজপুরের খানসামায় অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ৩ দিন পর মাদরাসাছাত্র আরিফুজ্জামান ইসলামের (৮) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। রোববার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পাকেরহাট আরাজি গ্রামে একটি বাড়ির আঙিনা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শিশু আরিফুজ্জামান খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার আতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন…বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে: ওবায়দুল কাদের
শিশুর পরিবার ও খানসামা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে কায়েমপুর গ্রামে বাড়ির পশে খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয় আরিফুজ্জামান। এরপর রাত প্রায় ৮টার দিকে মুঠোফোনে একটি নম্বর থেকে শিশুর বাবাকে ফোন করে অপহরণের কথা বলা হয়। এ সময় মুক্তিপণ দাবি করা হয় এক লাখ টাকা। ওই রাতেই শিশুর বাবা আতিউর থানায় একটি জিডি করেন।
পরে মুঠোফোনের নম্বর ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার আ. মালেকের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২৩) আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন। এরপর শরিফুলের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায় জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকেই শিশুকে উদ্ধারে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ চালিয়ে যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক হিসেবে শরিফুলকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যার মামলা করেছেন। সেই মামলায় শরিফুলকে আদালতে পাঠানো হবে।
ইবাংলা/জেএন/৪ ডিসেম্বর, ২০২২