আত্মবিশ্বাসের ঝাণ্ডা উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ওমানে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ দল। ছোট ফরম্যাটের বিশ্বমঞ্চে নিজেদের যাত্রার শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। গতকাল স্কটল্যান্ডের মতো ছোট দলের কাছে ৬ রানে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। স্কটিশদের জয়ের নায়ক ক্রিস গিভস। অবাক করার মতো বিষয় হল, মাত্র কয়েক মাস আগেও অ্যামাজনের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শেখ মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের তোপের মুখে পড়ে স্কটল্যান্ড। দলীয় ৫৩ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা। এরপর গ্রিভসের দৃঢ়তার কারণেই ১৪০ রানের কোটায় পৌঁছাতে পেরেছে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন গ্রিভস। ২৮ বলের মোকাবেলায় ৪ চারের পাশাপাশি ২ ছয় হাঁকান তিনি। ছোট পুঁজির পর বল হাতেও ছিলেন অসাধারণ। ৩ ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব ও মুশফিকুর রহিমকে। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মাত্র একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গ্রিভস। অথচ মাঠে তার কোন ছাপই ফুঁটে উঠেনি। তাই গ্রিভসকে নিয়ে গর্বিত স্কটিশদের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার, ‘গ্রিভসকে নিয়ে আমি গর্বিত। সে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। কয়েক মাস আগেও সে অ্যামাজনের ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতো। আজ সে বাংলাদেশের বিপক্ষে কি দারুণ ক্রিকেট উপহার দিল।’
‘গ্রিভস স্কটল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নন। সে পরিকল্পায় ছিলেন। এজন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছে। মাসখানেক আগে পেছনে ফিরে গেলে সে একটি ম্যাচও খেলেনি। কিন্তু দেখুন সে কি করেছে। এটা প্রমাণিত যে সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটেও মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। এখন শুধু এটা দেখানোর জন্য তাদের প্লাটফর্ম দরকার।’ যোগ করেন কোয়েটজার।