বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে বিলাসিতা। সেই বাঙালির বিরুদ্ধেই গত ২ ডিসেম্বর বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা ও বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল , ‘গ্যাসের দাম বাড়লে তা আবার কমে যাবে। মূল্যবৃদ্ধি হলে সেটাও লাগামের মধ্যে চলে আসবে। সকলের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু দিল্লির মতো আপনাদের চারপাশেও রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঘুরে বেড়ায়, তখন কী করবেন? কমদামের গ্যাসে মাছ রান্না করে বাঙালিদের খাওয়াবেন?’
আরও পড়ুন…গঞ্জালোর হ্যাটট্রিক জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পরেশের বিরুদ্ধে থানায় ১৫৩, ১৫৩-এ, ১৫৩-বি ও ৫০৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। অর্থাৎ, অশান্তি সৃষ্টির উসকানি, নানা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার উদ্দেশ্য, ভাষা বা জাতিগত গোষ্ঠীর অধিকার না মানার জন্য অপমানমূলক বক্তব্য—এই সমস্ত ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘এফআইআর’ দায়ের করে তালতলা থানার পুলিশ। জাতিগত এমন বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণেই তাকে থানায় তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) হাজিরা দিতে বলেছেন পরেশকে।
পরে অবশ্য সমালোচনার তোপে বাধ্য হয়ে টুইট করে ক্ষমাও চেয়েছেন পরেশ। তিনি লিখেছেন, এখানে মাছ একেবারেই প্রাসঙ্গিক নয়। গুজরাটের মানুষও অনেক মাছ রান্না করে খান। এখানে বাঙালি জাতিকে মোটেও অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না আমার।
তবে এ কারণে আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে সবার কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পরও সমালোচনা যেন থামছেই না। ভারতবর্ষের বাঙালিরা রীতিমতো নিজ নিজ জায়গা থেকে পরেশের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইবাংলা/জেএন/৭ ডিসেম্বর, ২০২২