নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। সেনবাগ থানায় মামলা নং ১১।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী (১৪) নানার বাড়িকে থেকে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এই সুবাদে সাতবাড়িয়া গ্রামের প্রতিবেশী মিজি বাড়ির গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে শুভ’র সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন…নড়াইলে অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন গ্রেফতার
এরপর গত ৩০ সেপ্টম্বর রাতে প্রেমিক শুভ’র মা ইয়াসমিন আক্তার তার মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে পরদিন তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে । প্রেমিকের মায়ের কথা মতো পরদিন ১অক্টোবর ওই স্কুল ছাত্রী শুভদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন প্রেমিক শুভ ও তার বন্ধু ফরহাদ ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই।
এ সময় স্কুল ছাত্রী ওই বাড়ি থেকে চলে আসতে চাইলে প্রেমিক শুভ বিয়ের প্রলোভনে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিজ বসতঘর ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর ওই ধর্ষক ফের স্কুল ছাত্রীকে ঘুরানো কথা বলে ৭নভেম্বর পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলা কাশিপুর গ্রীন পার্ক নামের একটি বিনোদন কেন্দ্রে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে প্রেমিক মেহেদী হাসান শুভ তার বন্ধু পরভেজ ও শুভ’র মা সহ তিনজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইবাংলা/জেএন/৭ ডিসেম্বর, ২০২২