স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে দেশে। স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থাকে সংযুক্ত করতে হবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে। কৃষি ও শিল্প উৎপাদন এবং সেবা খাতে উদ্ভাবনী জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুন…যে কারণে নামাজির সামনে দিয়ে হাঁটা নিষেধ
কৃষি ও শিল্প উৎপাদন এবং সেবা খাতে উদ্ভাবনী জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। স্থানীয় সময় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) লন্ডনে আয়োজিত বাংলাদেশ-ইউকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৈঠক-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করে চলেছে। কিন্তু এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা খাতে অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ জরুরি। আমাদের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
বাংলাদেশে জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, প্লাস্টিক ও পেট্রো-কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, লজিস্টিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আর্থিক সেবা খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, সরকার এবং ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ আয়োজন করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে উপস্থাপন করা হবে। এসময় এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার এবং ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ইবাংলা/জেএন/২৮ নভেম্বর ২০২২