খাদ্য ঘাটতি মিটাতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অনাবাদি জমিতে শাক-সব্জি উৎপাদন শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের হালিশহরে রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমির অভ্যন্তরে চলছে কৃষি আবাদ। চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিজেদের অনাবাদি জমিতে শাকসবজি উৎপাদন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন…‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিপর্যয়মূলক চিকিৎসা ব্যয় বেশি বাংলাদেশে’
এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমিতে সবজি আবাদ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিত্যক্ত জমির আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার করে তৈরি করা হচ্ছে পুষ্টি বাগান। যাতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন প্রশিক্ষণ একাডেমীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আবাদ হওয়া সবজি বাগানের কিছু জমি থেকে এরই মধ্যে ফলনও আসতে শুরু হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে একাডেমির পরিত্যক্ত সব জমিতেই চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল চীফ ট্রেনিং অফিসার আতাউল হক ভূঞাঁ বলেন, “প্রায় ১১ শতক জায়গা কৃষি কাজের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের অস্থায়ী খাতে ১১ জন টিএলআর বা স্টাফ আছে। তারা যদি পরবর্তীতে ১১টা ভাগে ভাগ করে নিজেরা উৎপাদন করে এবং উৎপাদনের জন্য যে তহবিল আসবে তার জন্য তারাই দায়বদ্ধ থাকবে।
এদিকে কৃষি কর্মকর্তারা জানান, পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদের সব ধরনের সহায়তা দিবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবু কাওসার মোঃ সারোয়ার বলেন, “যে পরিমাণ জায়গা এখানে পতিত রয়েছে তা পরিষ্কার করে সেখানে ইতিমধ্যে সব্জিসহ নানা ধরনের ফলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কাজে আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে সব রকম কারিগরি পরামর্শ করে আসছি।” ১০০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমিতে রেলওয়ের কর্মীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ইবাংলা/জেএন/১২ ডিসেম্বর, ২০২২