স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে যে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জাফরগঞ্জ থেকে নয়াকান্দি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা-যমুনার পাড়ে প্রায় অর্ধশত অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ এ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও জড়িতরা অপতৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার জাফরগঞ্জ থেকে নিহালপুর পর্যন্ত নদী তীরবর্তী স্থানে প্রায় দেড় ডজন অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে পলি মাটি কেটে কিছু দূরত্বে ভিন্ন স্থানে স্তুপাকারে মজুদ করে এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী। এরপর কেটে নেওয়া মাটি প্রতি ঘনফুট তিন থেকে ছয় টাকা দরে বিক্রি করেন তারা। এ মাটি নদীর পাড়ে বা মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক ট্রাক ও ছোট যানবাহন চলাচলের ফলে মহাসড়ক ও সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্তসহ বায়ুদূষণ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন…রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে বৃষ্টি ও বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে বহু ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এমন অপতৎপরতা চালু থাকলে ভবিষ্যতে নদী ভাঙন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, যানবাহন দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যা আরও প্রকট হবে শঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে, আরিচা থেকে নয়াকান্দি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর পারে একইভাবে অন্তত ৩০টি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে প্রত্যহ লাখ লাখ ঘনফুট পলি কেটে বিক্রি করছে। উপজেলা প্রশাসন মামলা ও জরিমানা করলেও শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চিহ্নিতরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান জানান, পাঁচ দিন আগে তেওতা ও জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনার পাড়ে বসানো ১০টি অবৈধ ড্রেজার ভাঙচুর ও ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানে বসানো অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/৩১ ডিসেম্বর, ২০২২