বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন…কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে কেক কাটার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তাদের নানা সংকট ও সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হুসাইন। শীতবস্ত্র গ্রহণকারী আলী হোসেন নামে এক বৃদ্ধ জবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কম্বল পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই শীত বড় উপকার করলি বাবা। শেখের বেটিরে আল্লাহ ভালো রাখুক।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্রলীগের প্রায় ১৭ হাজার নেতাকর্মী যুদ্ধের সময় রক্ত দিয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের যেকোনো অধিকার আদায়ে পাশে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির জন্য আগের মতো ভবিষ্যতেও লড়ে যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্রলীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন…মধুপরে শীতার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র বিতরণ
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, সব সময় দেশের সার্বভৌমত্ব, মানবিক কাজের জন্য যে সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সারাবাংলার প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মী ও এ সংগঠনকে যারা ভালোবাসে তারা এই দিনটি উদযাপন করছে। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ সবসময় কাজ করেছে, কাজ করে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করবে।
ইবাংলা/জেএন/৪ জানুয়ারি, ২০২৩