রাজধানীতে গত কয়েকদিনের তীব্র কুয়াশা কিছুটা কমে আসলেও কমেনি শীতল বাতাস। সেই সঙ্গে সূর্যের দেখা না মেলায় কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু শহরবাসী। শীতে সবথেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। দিনে কিছুটা উষ্ণতা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জেকে বসেছে শীত। শীতের তীব্রতায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরানো গরম কাপড়ের অস্থায়ী দোকান। কোথাও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন সাধারণ নগরবাসী।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা পায়নি রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকালে ঢাকায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন…হবিগঞ্জে ঘন কুয়াশায় ট্রাক-বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ৫
বর্তমানে ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৭টি জেলায় জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং বরিশালের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে শীতে কাঁপছে এসব অঞ্চলের মানুষ।এমন শীত দিনভর থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা টেকনাফে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, রোববার তাপমাত্রা একটু বাড়বে।তবে ১০ অথবা ১১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমতে থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে দিনের তাপমাত্রা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।এ দিকে কনকনে শীতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
ইবাংলা/জেএন/৭ জানুয়ারি, ২০২৩