মানুষের মন আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে থাকে। আল্লাহর ইশারা ইঙ্গিতেই পরিচালিত হয় মন। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সব বনি আদমের অন্তরসমূহ দয়াময় রহমানের কুদরতের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যেভাবে চান তাতে পরিবর্তন আনেন। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ কর্মব্যস্ততা, ব্যর্থতা, চিন্তা ও পেরেশানির কারণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ব্যবসায়িক জীবন অশান্ত হয়ে ওঠে।’ (মুসলিম, তিরমিজি)
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই সে মানুষকে বিপথে পরিচালিত করার শপথ নিয়েছে। মানুষকে আল্লাহ বিমুখ করার কোনও সুযোগ ছাড়ে না শয়তান।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত এবং তোমার উপর আমার লা‘নত স্থায়ী হবে কর্মফল দিবস পর্যন্ত। সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে অবকাশ দিন পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। তিনি বললেন, তুমি অবকাশ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হ’লে অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।
সে বলল, আপনার সম্মানের শপথ! আমি তাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করব। তবে তাদের মধ্যে একনিষ্ঠ বান্দাদের নয়। তিনি বললেন, তবে এটাই সত্য আর আমি সত্যই বলি। তোমার দ্বারা ও তোমার অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করবই।’-( সুরা, সোয়াদ, আয়াত, ৭৮-৮০)
শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে ঈমানের ওপর অটল থাকতে এবং মনকে আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে ঈমান বাঁচানোর এবং ঈমানের ওপর অটল থাকার বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি দোয়া হলো-
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ! ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি, ছাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিকা।’
অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী! আমার মনকে আপনার দীনের উপর অবিচল রাখুন।
এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে হজরত শাহর ইবনে হাওশাব (রহ.) বলেন, আমি উম্মে সালামাহ (রা.)-কে বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার কাছে অবস্থানকালে অধিকাংশ সময় কোন দোয়া পড়তেন? তিনি বলেন, অধিকাংশ সময় এই দোয়া পড়তেন। -(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২২)
ইবাংলা/জেএন/১১ জানুয়ারি, ২০২৩