যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের অনেক বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কারণ অনেক অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।মাথার যে কোনো এক পাশ থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা খুবই কষ্টদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে গা গোলানো কিংবা কারও কারও হালকা জ্বরও থাকে। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শরীরকে কাহিল করে দেয়।
শীত পড়তেই ঘরে ঘরে ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্টও, তা হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের এমন অনেক অভ্যাস আছে যার উপরেও এ ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এ কারণে মাইগ্রেনর ব্যথা কমাতে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি।
অনিয়মিত ঘুম : প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান।
অতিরিক্ত আওয়াজ: খুব জোরে গান শোনা মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে এ ব্যথা হতে পারে। খাওয়া-দাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে এমন ব্যথা হতে পারে।
চিনি : অতিরিক্ত চিনি আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খান, তবে পরিমিতি বোধ রেখে।
খালি পেট রাখা : দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত। হাতের কাছে সব সময় শুকনো খাবার রাখুন।
কফির অভ্যাস : কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ তা বন্ধ করবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। এ কারণে কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন।
আরও পড়ুন…চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান : তথ্যমন্ত্রী
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো : অফিসে একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ? মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে পানি দিয়ে আসুন। মাঝেমধ্যে বসার আসন থেকে উঠে ঘুরে আসুন।
ইবাংলা/জেএন/১৪ জানুয়ারি, ২০২৩