জীবনমুখী ও বাস্তবধর্মী গানের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী দুই বাংলার মানুষরে কাছে বেশ জনপ্রিয়। জনপ্রিয় এই শিল্পী রহস্যময় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে ডিভোর্সের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নচিকেতা লেখেন, যাঃ! ‘ডিভোর্সটা হয়েই গেল’
আগেই নচিকেতা ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এই গান মুক্তি পেতে চলেছে। সে অনুযায়ী নচিকেতার হ্যাপি ডিভোর্স গান মুক্তি পেল। আগুনপাখির প্রযোজনায় এই গানের কথা, সুর থেকে অ্যালবামের ভিডিও পরিকল্পনা, পরিচালনা, সবই নচিকেতার।তবে কার ডিভোর্স হয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি। কারো কারো ধারণা নতুন কোনো গান আসছে তার। যার শিরোনাম হতে পারে।
গান মুক্তির আগে যে পোস্টারটি দেওয়া হয়েছিল তাতে একটি কাপের ছবি দেওয়া হয়। আর সেই কাপের উপর লেখা, ‘দ্য বেস্ট হাসব্যান্ড’, অর্থাৎ ‘সেরা স্বামী’। কিন্তু ‘হাসব্যান্ড’ শব্দটি কেটে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব-বিবাদ নিয়েই নচিকেতার এই গান।
কিছুদিন আগেই ফেসবুকে নচিকেতার রহস্যজনক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছিল। পোস্টারে লেখা ডিভোর্স আর সেটা আড়াআড়িভাবে কাটা। সঙ্গে লেখা, ‘যাঃ অবশেষে ডিভোর্সটা হয়েই গেল’। এই পোস্ট দেখামাত্র নচিকেতার ফেসবুকে হু হু করে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। শুরু হয় জল্পনা।
আরও পড়ুন…ঝিনাইদহে “আমার দক্ষতা, প্রযুক্তি সুরক্ষা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
অনেকেই ভেবে বসেছিলেন যে নচিকেতার বৈবাহিক জীবনে এই বিচ্ছেদ হয়তো হতে চলেছে। তবে যারা নচিকেতাকে বহু আগে থেকে চেনেন তারা বুঝতেই পেরেছিলেন যে এটা তার কোনো নতুন গানের আগাম ইঙ্গিত। শেষ পর্যন্ত আজ সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল।
নচিকেতা মানেই নব্বইয়ের দশকে বাঙালি জীবনে আবেগ নিয়ে আসা। নীলাঞ্জনা হোক বা রাজশ্রী, অনির্বাণ বা সময় নচিকেতার সব গানই যেন জীবন্ত এক বাস্তবকে তুলে ধরে।
এরপর বৃদ্ধাশ্রমের মতো বাস্তবিক গান আট থেকে আশি প্রতিটা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। নচিকেতা মানেই জীবনমুখী গান। তার হাত ধরে গানের ধারা এক অন্য রূপ পেয়েছে।
হ্যাপি ডিভোর্স গানটিও সেরকমই একটি বার্তা বহন করছে। ডিভোর্সের পর সব বন্ধন থেকে মুক্তি হয়ে যাওয়া আবার অতীত স্মৃতি বারবার আঘাত করা সবকিছু নিয়েই নচিকেতার এই নতুন গান। গান মুক্তির আগে এই গানের একাধিক পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে তার চোখে মুখে কান্না জমে আছে। হাত দিয়ে ঢাকা মুখ। হাতে নানা ধরনের চিহ্ন আঁকা।
ইবাংলা/জেএন/২৭ জানুয়ারি, ২০২৩