নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীর মুক্তির দাবীতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার ( ৩০ জানুয়ারী) বিকেলে সদরের শেখহাটি ইউনিয়নের শুয়াখোলা এলাকায় ২ ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও কয়েক শত সাধারন মানুষ এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অংশ নেয়।
এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ওই এলাকার মলয় কান্তি বিশ্বাস, কংকন পাঠক, বিলাস কুমার সরকার, শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীর স্ত্রী ইতি গোস্বামী, বিজয় বিশ্বাস এবং গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজিব কর, দশম শ্রেণীর চৈতি গোস্বামী ও হ্যাপী পাঠকসহ আরোও অনেকে।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজিব কর বলেন তাদের প্রিয় শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীকে যড়যন্ত করে জেলে পাঠানো হয়েছে। দ্রæত মুক্তি না দিলে তারা সকলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিবে। দশম শ্রেণীর ছাত্রী চৈতি গোস্বামী বলে যে বিষয়টি নিয়ে স্যারকে ফাঁসানো হয়েছে এটির কোন ভিত্তি নেই।
সুকান্ত স্যারের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। একই ক্লাসের আর এক শিক্ষার্থী হ্যাপী পাঠক বলে স্যারের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে,স্যারকে মুক্তি না দিলে আমরা অনশন করবো। এসময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কোমলমতী শিক্ষর্থীরা।
এলাকাবাসীর বক্তব্যেও একই দাবী উঠে আসে। তাদের দাবী ছাত্রী কেয়া ধরকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীর নামে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দ্রæত মামলাটি প্রত্যাহার করার দাবী জানান তারা।
এলাকার মলয় কান্তি বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর কারনে এই মামলাটি সাজানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীর স্ত্রী ইতি গোস্বামী তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মানববন্ধনে দাড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার
উল্লেখ্য, গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সেই ছাত্রীর মা ২৪ জানুয়ারী প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক সুকান্ত গোস্বামীর বিরুদ্ধে। পরে সদর থানায় মামলা হয়। বর্তমানে শিক্ষক সুকান্ত কারাগারে আছেন।
ইবাংলা/জেএন/৩১ জানুয়ারি, ২০২৩