৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো তুরস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের সব অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থানা দপ্তর এএফএডির দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহরটি ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহর এই গাজিয়ানতেপ। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হওয়ায় গাজিয়ানতেপে অনেক সিরীয় শরণার্থীও আছেন।
আরও পড়ুন…প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবারের এ দুর্যোগে সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ভূমীকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।
তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।
আরও পড়ুন…থানার সামনে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সাংবাদিক, আহত ৫
কর্মকর্তাদের প্রাথমিক বিবৃতিতে তুরস্কের মালতায়া প্রদেশে কমপক্ষে ২৩ জন, সানলিউরফায় ১৭ জন, দিয়ারবাকিরে ছয়জন এবং ওসমানিয়াতে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ইবাংলা/ জেএন/ ৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩