চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন।

চবি প্রতিনিধি

চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জমকালো আয়োজনে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়।

আয়োজনে অশগ্রহণকারি প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক আয়োজনের ব্যাপকতায় মুগ্ধ  হয়ে বলেন, ধন্যবাদ জানাই আয়োজক ও আয়োজনের সাথে জড়িত সকল বন্ধুদের। বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যারা অসাধারন এ সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে অনবদ্য ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন।

শুভেচ্ছা ও স্বাগতম অংশগ্রহণকারী এলামনাইদের যাদের পদভারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকম্পিত ও মুখরিত ছিলো এক অসাধারণ মিলনমেলা। এদিনের স্মৃতিচারণ ও মহান শিক্ষকদের অমর বাণী অমর হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত। চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মৃতিময় আবেগ আর আনন্দগন পরিবেশ বিগত দিনের মুখরিত দিনগুলো শুধু ভেসে উঠেনি , হৃদয়কে ভীষণ তাড়িত করছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধমে উদ্ধোধন করা হয়। প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শিরিন আকতারের উপস্থিতিতে প্রবীন ও নবীন শিক্ষকদের উপদেশমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

একাধিক অংশগ্রহণকারি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলেন,  যেনো আবার ব্যবস্থাপনা বিভাগের করিডোরে বসা থেকে উঠে দেখা মাত্রই মান্নান স্যার অথবা আউয়াল স্যার অথবা আশরাফ আলী স্যারকে সালাম দিচ্ছি। প্লে কার্ড হাতে টুপি মাথায় কটি পরা বন্ধুরা যখন ব্যাচ অনুযায়ী ব্যান্ড পার্টির তালে তালে পদযাত্রা শুরু করে তখন মনের মাঝে অজানা এক খুশির বাজনা বেজে উঠল।

আরও পড়ুন…ইবি সিআরসি’র নেতৃত্বে রনি-হাবিবা

পাহাড় ঘেরা নৈ-স্বর্গীক পরিবেশে নিজেকে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রের মতো মনে হল। বান্ধবীদের রক্ষিত চুলের দু-একটি অগোচালো চুলের দৃশ্যের প্রতি বড় ভাইদের দৃষ্টিনন্দন চাহনী নিরন্তর ভালোবাসা আর জঙ্গলের পাশে উন্মুক্ত জায়গায় গল্প করার স্মৃতিগুলো যেনো আবার ইশারায় ডাক দিচ্ছে।

নকিব খানের হারানো দিনের জনপ্রিয় ব্যান্ড এর গানগুলো যেমন সবাইকে মুগ্ধ করে তেমনিভাবে ভারতের প্রখ্যাত জনপ্রিয় শিল্পী সেঁজুতি করের সুরের মূর্ছনায় নাচে গানে জুনিয়র সিনিয়র একাকার হয়ে যায়। এরই মাঝে সেঁজুতি করের গানের মুগ্ধতায় ১৪ ব্যাচ এর মাহবুব তার মোবাইলটি হারিয়ে ফেলে। তারপর ও ১৪ তম ব্যাচ এর সৌজন্যে দেওয়া র‍্যাফল ড্র এর পুরষ্কার এর প্রতি তীব্র আকর্ষণ এর কারণে কেউ নিজ আসন ছাড়েনি।

গভীর রাতের ঘুমের নেশা কাউকে বিচলিত করতে পারেনি। অবশেষে সি অফ করার জন্য ব্যাচমেট বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ এ এফ এম আরঙ্গজেব সহ মোহাম্মদ আলী ও আবু তাহের চৌধুরী হোটেল সৈকতে আসেন এবং ঢাকামূখী ‘’ সোনার বাঙলা’’ ট্রেন না ছাড়া পর্যন্ত স্টেশন প্লাটফর্মে অপেক্ষা করেন। সবাইকে আপ্যায়িত করেন এবং ১৪ তম ব্যাচমেটদের নিয়ে পারিবারিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন…‘বাংলা ইশারা ভাষা’ দিবস পালিত

এ স্মৃতি ভুলার নয়। ধন্যবাদ আরঙ্গজেব ,মোহাম্মদ আলী ও আবু তাহের চৌধুরী। শুভ কামনা সোনার বাঙলা ট্রেনের সহযাত্রী সাইফউদ্দিন, বাশার, বাহার, মুকুল, রিতা, মাহবুব,ইউসুফ ,মতিন মিসেস বাহার , মিসেস সাইফউদ্দিন, এবং আদরের সাইফ কন্যা নুসাইবা সাইফ রিশতু। ১৪ তম ব্যাচমেট সকলের প্রতি রইল নির্ভেজাল গভীর ভালোবাসা। অভিনন্দন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সূবর্ণ জয়ন্তীতে অংশগ্রহনকারী এলামনাইদের। সকলের কাছে দোয়ার প্রত্যাশা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর শামসুজ্জোহার নেতৃত্বে ১৯৭০ সালে ব্যবস্থাপনা বিভাগের পাঠদান শুরু হয়। সেই শুরুর ব্যাচ থেকে ৫৭তম ব্যাচের (বর্তমান) প্রায় ৩ হাজার অ্যালামনাই অংশগ্রহণ করেন।

ইবাংলা/টিএইচকে

উদযাপনজয়ন্তীসূবর্ণ