উৎপাদন ব্যবস্থা ও সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন ব্যবস্থা এবং পণ্য সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দেশের এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।

বুধবার (০১ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এনইসি সভায় বর্তমান অর্থবছরের (এফওয়াই২৩) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন করেছে ।

আরও পড়ুন…বিএনপি দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়: কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষ অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন।প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ড. আলম বলেন, সরকার চাহিদার দিকটা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু তারপরও উৎপাদনের দিকটা উন্নত করা দরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে, এখন বোরো উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। দেশের অগ্রযাত্রায় অনেক সমস্যা আসতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা একাগ্রতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং সংস্থাগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় অর্থ ব্যয়ে কঠোরতা অনুসরণ করার নির্দেশনা পুর্নব্যক্ত করার পাশাপাশি আরও বেশি পরিকল্পিত উপায়ে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলো সমাপ্তির পথে এবং যে প্রকল্পগুলো অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি যেসব প্রকল্প এই মুহূর্তে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বা যেসব প্রকল্প বিলম্বিত হলেও এর ব্যয়ের ওপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়নের ওপরেও জোর দিয়েছেন।‘শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সরকারি কাঠামো, প্রতিষ্ঠান এবং সুবিধাসমূহ পুরোমাত্রায় চালু করতে কি পরিমান জনবল প্রয়োজন তার তালিকা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন দক্ষতা-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।

ইবাংলা/টিএইচকে

অক্ষুন্ন রাখারওপরগুরুত্বারোপ