মার্চ মাসের দ্বিতীয় দিনে রান্নায় ব্যবহৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস-এলপিজির দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। যা গত একমাস ১ হাজার ৪৯৮ টাকা ছিল।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানোনো হয়েছে।
প্রায় দুই বছর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বপ্রথম দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রি হওয়া এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমাসেই নিয়ম করে দাম সমন্বয় চলছে। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর এক মাস পরই সিলিন্ডারের দাম ৭৬ টাকা কমালো বিইআরসি।
বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৮ দশমিক ৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজি’র ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৫.৩১ টাকায় বা রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজি’র ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০.২৫৬৩ টাকায় সমন্বয় করা হলো।
এছাড়াও ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬৬.২২ টাকায় সমন্বয় করা হলো। সমন্বয়কৃত মূল্য আজ (২ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টা থেকেই কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দাম বলবৎ থাকবে।
তবে সরকারি এলপিজি’র ইআরএল/আরপিজিসিএল পর্যায়ের মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় এবং সরকারি এলপিজি’র মূল্য সমন্বয়ের সঙ্গে সৌদি সিপির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সরকারি এলপিজি’র মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
ইবাংলা/এসআরএস