দাম বৃদ্ধির পরও পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য কম বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে অনেক আগেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও এই মূল্যবৃদ্ধি ২০ থেকে ১০০ শতাংশ। যেমন জার্মানিতে ২১ শতাংশ, আবার বেলজিয়ামে ৯৫ শতাংশ।
‘সেই তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অনেক কম। সাম্প্রতিক সময়ে ৫ শতাংশ হারে দুবার বাড়ানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকরা মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য বাংলাদেশে ৭ টাকা ৩২ পয়সা, ভারতের দিল্লিতে ১১ টাকা ১৫ পয়সা, মহারাষ্ট্রে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা, পাঞ্জাবে ৮ টাকা ৬৩ পয়সা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ টাকা ৩১ পয়সা, জার্মানিতে ৪১ টাকা ৯৩ পয়সা, বেলজিয়ামে ৪৬ টাকা ৪৬ পয়সা, জাপানে ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা। জাপানসহ অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম, ভারতের তুলনায়ও আমাদের বিদ্যুতের মূল্য কম।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি, কোনো কোনো দেশে সেটি ২০-২২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
‘রাশিয়াতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, তুরস্কে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়েছিল, বর্তমানে সেটি প্রায় ৬০ শতাংশ। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশ আর আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সাড়ে ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এবং আশপাশের দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, বিএনপি পৃথিবীর মানচিত্রের এই তথ্যগুলো মানুষের সামনে আড়াল করে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়।
‘দুর্নীতিতে পরপর পাঁচ বার তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, দুর্নীতির দায়ে বেগম খালেদা জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি হয়েছিলেন এখন প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় জেলখানার পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করছেন। আর দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের কারণে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাস্তিপ্রাপ্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এভাবে যাদের সারা গায়ে দুর্নীতির গন্ধ, তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে তখন- তাদের গায়ের দুর্নীতির দুর্গন্ধই শুধু ছড়ায়, অন্য কোনো কিছু নয়।
ইবাংলা/এসআরএস