ঢামেকের পুরাতন ভবনের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে আগুন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘেটেছে। এ সময় সেখানে ভর্তি থাকা ৫২ জন শিশুরোগী স্বজনদের সহযোগিতায় ওয়ার্ড থেকে নিরাপদে বের করা হয়েছে।

শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঢামেকের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০৫ নম্বর শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিস দফতর থেকে ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, ঢামেক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে দ্রুত দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই হাসপাতালের স্টাফরা অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

ঢমেক সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ডের বাইরের দিকে জানালার নিচে জমে থাকা ময়লার স্তূপে আংশিক আগুনের কারণে ধোয়ার কুণ্ডলী পাকানোর আগেই হাসপাতালের লোকজন অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র দিয়ে তা নিভিয়ে ফেলেন।

আরো জানা গেছে, শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিশু সার্জারি ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় ডাক্তারদের রুম সংলগ্ন জানালার নিচে ময়লার স্তূপ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এতে ঐ ওয়ার্ডের রোগীদের স্বজনদের মাঝে আগুন আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সেখানে ভর্তি থাকা ৮ মাস বয়স থেকে ৯ বছরের শিশুরা স্বজনদের সহযোগিতায় ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়।

ঐ ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স তানজিলা জানান, যখন জানালার নিচে ময়লার স্তূপ থেকে আগুনের ধোঁয়া ওয়ার্ডে ঢোকার আগেই সেখানে ভর্তি ৫২ শিশুকে স্বজনদের মাধ্যমে বের করে আনা হয়। এসময় সেখানে থাকা রোগীদের স্বজনরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে আসা হয়। এই ওয়ার্ডে ৮ মাসের শিশু থেকে ৯ বছর শিশুরা ভর্তি ছিল। তবে বেশিরভাগই একদম শিশু।

এদিকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ, আবুল হোসেনসহ বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, ঢামেক শাখার সভাপতি কামাল হোসেন পাটোয়ারী ও জরুরি বিভাগের নার্স ইনর্চাজ লিয়াকত। এছাড়া হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আব্দুর রবসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসেন এবং সবাই মিলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া হাসপাতালে রোগী ও ভিজিটররা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেন। হাসপাতালের লোকজন সেগুলো পরিষ্কারও করে প্রতিদিন। যেহেতু হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে, তাই স্বজন আছে আরো কয়েকগুণ। তারা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেন। আজকেও জানালার নিচে জমে থাকা ময়লার স্তূপে একটু ধোয়া উড়তে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আমাদের কর্মীরা সেটা নিভিয়ে ফেলেছে।

ইবাংলা/এসআরএস