সাকিব-মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

শুরুটা ছিল হতাশার। বিপর্যয় সামলে শান্ত ও মুশফিক বড় জুটি গড়লেন ঠিকই, তবে তাদের বিদায়ের পর আবারো ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল। শেষদিকে আবার সাকিব শো, যার ফিফটিতে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৪৮.৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

এদিন টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের হয়ে তার সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই স্যাম কুরানের বলে উইকেটের পেছনে তালুবন্দী হন লিটন। এর মাধ্যমে টানা দুই ম্যাচে শুন্য রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি।

নিজের পরের ওভারে এসে ফের সাফল্যের দেখা পান কুরান। এই অলরাউন্ডারের করা ওভারের শেষ ডেলিভারির আউটসুইঙ্গার বুঝতেই পারেননি তামিম। তিনি ফ্লিক করতে গেলে বল ব্যাটের কানায় লেগে ওপরে উঠে যায়। যা সহজেই তালুবন্দী করেন জেমস ভিন্স। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ বলে ১১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।

মাত্র ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে বিপর্যয় সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে গড়েন ৯৮ রানের বড় জুটি। শান্ত ও মুশফিকের ব্যাটে যখন ম্যাচে আধিপত্য বিস্তারের পথে বাংলাদেশ, তখনই ভাঙে দুজনের জুটি। যেখানে রান আউটের শিকার হয়ে ৫৩ রানে ফেরেন শান্ত।

তার বিদায়ের পরপরই ফিফটির দেখা পান মুশফিক। দীর্ঘদিন পর বড় ইনিংসের দেখা পাওয়া এ ব্যাটার থামেন ৭০ রানে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এদিন ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। আফিফ হোসেন ১৫, মেহেদী মিরাজ ৫ ও তাইজুল ইসলাম ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে ৫৫ বলে ফিফটি পূরন করেন সাকিব আল হাসান।

ইনিংসের শেষদিকে আউট হওয়ার আগে ৭৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দেন সাকিব। তিনি বিদায়ের পরের বলেই মুস্তাফিজুর রহমান লেগ বিফোরের শিকার হলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার তিনটি, স্যাম কুরান ও আদিল রশিদ দুটি এবং রিহান আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

ইবাংলা/এসআরএস