বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও সংবিধান সমুন্নত রেখে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা যুক্তরাজ্যে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সুযোগ রয়েছে।
হাতে সময় আছে এখনো পৌনে দুই বছর, তবু মাঝে মাঝেই আলোচনায় আসছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। বড় দুই দলের বৈঠক, প্রচারণার কৌশলে উঠে আসে নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়টি। তবে কেমন হবে সে নির্বাচন, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনাও কম নয়।
বুধবার দুপুরে ডিকাব টকে অংশ নেয়া বৃটিশ হাইকমিশনারের প্রত্যাশা জানতে চাইলে কৌশলী উত্তর দেন তিনি।
রবার্ট ডিকসন বলেন, একজন বিদেশি হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা সমীচীন নয়, তবে নির্বাচনটা কেমন হবে সে বিষয়ে এ দেশের সংবিধানে বলা আছে। বন্ধু হিসেবে আমরা আশা করতে পারি, একটি স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
যুক্তরাজ্যে বসে সামাজিক মাধম্যে অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। তবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না থাকায় তাদের বাংলাদেশের আইনের আওতায় আনা যায় না। বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন বৃটিশ হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে বসে বাংলাদেশের কেউ সামাজিক মাধ্যমে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, বিদ্বেষ ছড়ায় এমন বক্তব্য দিলে তা আমাদের আইনে তদন্ত করার সুযোগ রয়েছে। যে কোন অপরাধীকে ফেরত পেতে হলে বৃটিশ কোর্টে মামলা করতে হবে, আদালতের নির্দেশেই কেবল তা সম্ভব।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বর্তমান পরিস্থিতিতে বৃটিশ বিনিয়োগকারীরা উৎসাহী হচ্ছেন বলেও জানান হাইকমিশনার। ডিকাব প্রেসিডেন্ট পান্থ রহমানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সেক্রেটারি একে এম মঈনুদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।