সুলতানস ডাইনের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি অভিযোগকারিদের

এম হোসাইন

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের সুলতানস ডাইন রেস্টুরেন্ট কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংসের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে অভিযোগকারি ক্রেতা উল্টো ঘটনার দিন সুলতানস ডাইনের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে ইবাংলাকে জানান রেস্টুরেন্টটির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম।

তিনি বলেন, সুলতানস ডাইন বাংলাদেশের অন্যতম পছন্দের কাচ্চি ব্রান্ড হিসেবে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত সুনামের সাথে অতিথিদের মন যুগিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন…কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর মাংসের অভিযোগ মিথ্যা, দাবি সুলতানস ডাইনের

ওইদিনের ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ হুবহু তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মহাখালি আমতলী-এর যমুনা ব্যাংকের হেড অফিস কার্ড ডিভিশন থেকে অর্ডার আসে ৭টি হাফ বাশমতি কাচ্চির। ফুড ডেলিভারির বেশ সময় পর তারা আমাদের হটলাইনে কল করে এবং বিস্তারিত অভিযোগ শুনে আমাদের ম্যানেজার এবং সুপারভাইজার সেখানে উপস্থিত হন।

আমাদের ম্যানেজার গিয়ে দেখতে পান ইতোমধ্যে তারা ২/৩ প্যাকেট কাচ্চি খেয়েও ফেলেছেন, বাকি প্যাকেট থেকে কাচ্চি প্লেটে ঢেলে আমাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন যে, এটি মাটন পিস নয়।

আমাদের প্রতিনিধি তাদের সাথে সুলভ আচরণের সহিত বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে ব্যাংকের উপস্থিত কর্মকর্তারা মানতে নারাজ এবং এই মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যে, যুগান্তর পত্রিকায় তাদের লোক আছে এবং তারা এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবেন। এসময় মীমাংসার জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।

আমাদের ম্যানেজার উক্ত চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং তাদের যুক্তিমতে মিট ল্যাব টেস্ট এর জন্য সাথেও যেতে চান, এমনকি সুলতান্স-এর কিচেন পরিদর্শন এর ও আহ্বান জানান কিন্তু তারা রাজি হয় নি। অবশেষে উগ্র পরিস্থিতিতে ম্যানাজারগণ শারিরিক আক্রমণ হবার উপক্রম দেখে তখন পালিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে।

তারা আমাদের একজন প্রতিনিধিকে স্থানীয় একটি ক্লাবে ২ ঘণ্টার মত আটকিয়ে রাখে এবং এই চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকিধামকি দেন। সে সময় তারা কর্মকর্তাগণকে লোকজমায়েত করে অপরাধী বানানোর ও চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন…বাংলাদেশ সফরের আগে তিন পরিবর্তন আয়ারল্যান্ড দলে

উক্ত ঘটনার সময় আবদুল হাকিম এবং মিস কাজল নামে ২ জন আমাদের ম্যানাজারদের সাথে রুক্ষ আচরণ, কটুক্তি এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন, যা স্বনামধন্য ব্যাংক কর্মকর্তার থেকে কাম্য নয়। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি ওই মহিলা কর্মকর্তা কল দেওয়ায় সময় TrueCaller এ “ফালতু মহিলা যমুনা” উঠছিলো।’

সকল অতিথিদের আমরা সব কোয়ালিটি কন্ট্রোল দক্ষ এবং বিশ্বস্ত জনবল দিয়ে ভালো সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেন আশরাফুল আলম। পুরো ঘটনা তাদের প্রান্ত থেকেও সম্পূর্ণ রেকর্ড করা রয়েছে বলেও তিনি জানান। যথাযথ প্রমাণ না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে এমন হিংসাত্মক অপপ্রচার না করতে অনুরোধ জানান তিনি।

ইবাংলা/টিএইচকে/১০ মার্চ, ২০২৩