ডুবে যাওয়া ফেরিটি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলাচল করছিল

ডেক্স রির্পোট

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নৌযানের তালিকা অনুযায়ী, রো রো আমানত শাহ ফেরিটি ১৯৮০ সালে তৈরি। ৩৩৫ জন যাত্রী ও ২৫টি যানবাহন বহন করতে পারে এটি। ৮০৬.৬০ টন ওজনের ফেরিটি সর্বোচ্চ ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার বলেন, আমানত শাহ ফেরিটি প্রথম দিকের আনা। এর বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন লোড করে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করে রো রো ফেরি আমানত শাহ। ফেরি থেকে দুই থেকে তিনটি যানবাহন নামার পরপরই ফেরিটি ডুবে যায়।

ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলাচল করছিল বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি নৌযানের নিবন্ধনের মেয়াদ হয় ৩০ বছর। এরপর বিশেষ জরিপের (ফিটনেস) মাধ্যমে দুবার পাঁচ বছর করে নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো যায়। তবে ৪০ বছরের বেশি সময় কোনোভাবেই কোনো নৌযান চলাচল করতে পারে না।

আইন অনুযায়ী ৪০ বছরের বেশি বয়সী কোনও নৌযান চালানোর সুযোগ নেই। মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া রুটে চলাচল করে এই ডাম্ব ফেরি।

তিনি জানান, ফেরি উল্টে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা কাজ করছে। উদ্ধারকাজ করতে মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা দিয়েছে।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাটে রো রো আমানত শাহ নামের একটি ফেরি ডুবে গেছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

টি/আর

Comments (0)
Add Comment