রাজনৈতিক দলগুলোর সংকট থাকলে নিরসন তারাই করবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এটা রাজনৈতিক ইস্যু। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সে রকম কোনো সংকট থেকে থাকে, সেটা তারা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবে। তাদের মাঝখানে আমরা ব্রোকারেজ করব না, করতে পারব না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করা ইসির দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সিইসি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন…খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে নির্বাচন ভবনে আসে চার সদস্যের এ প্রতিনিধি দল। এতে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার ছাড়াও সফররত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব (প্রথম) গেরি কোওয়ান, হাইকমিশনের উপ-প্রধান নার্দিয়া সিম্পসন ও সহকারী পরিচালক এলিস হেইনিঙ্গার।

ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাদের বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে প্রথমে জেরেমি ব্রুয়ের ও পরে সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জেরেমি ব্রুয়ের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে খুব সুন্দর মতবিনিময় করেছি। সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই বলেন তিনি।

আরও পড়ুন… ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া আরও আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার

পরে সিইসি বলেন, হাইকমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন ও উনারা আশাবাদী, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং ফ্রুটফুল হবে। আমরাও আমাদের প্রস্তুতির কথা তাদের জানিয়েছি। আমরা নির্বাচন আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি যে, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। সিইসি আরও বলেন, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব যাতে নির্বাচনটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আমরা সবাইকে আবেদন করব, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন এবং দেখুন যে নির্বাচনটা কেমন হয়। আর যদি সব দল অংশগ্রহণ করে আমরা নিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফলটা অনেক ভালো, অনেক বেশি ইতিবাচক হবে এবং জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে।

ইবাংলা/এইচআর