জেনে নিন নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই সাধারণ যে ভুল অভ্যাস রয়েছে সেটি হচ্ছে না জেনে বা বুঝেই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া। হয়তো কারো পেট খারাপ হলো খেয়ে নিলো সিপ্রোসিন অথবা মেট্রোনিডাজল। জ্বর এলেই একবেলা অপেক্ষা না করেই অনেকে খেয়ে ফেলেন জিম্যাক্স।

বিশেষ করে সন্তান একটু অসুস্থ হলে যেন সব মায়েরাই ছোটখাটো ডাক্তার হয়ে যান। আর সবচেয়ে বড় ডাক্তার তো ওষুধের দোকানের কমপাউন্ডার গুলো।

আরও পড়ুন: বিএনপির ভিতরে-বাইরে কোথাও গণতন্ত্র নেই: কৃষিমন্ত্রী

এভাবে নিয়ম না মেনে অনবরত এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পরিণতি যে কতটা মারাত্মক সে সম্পর্কে কথা বলেছেন বি আর বি হসপিটালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মহিউদ্দিন আহমেদ ।

তিনি বলেন, সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা ভিন্ন হয়। সঠিক পরিমাণে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে ব্যাকটেরিয়াগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তখন এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে উক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের আর কোনো প্রভাব থাকে না। এ অবস্থাকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে। যখন কেউ অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পন্ন করে না তখন এ রেজিস্ট্যান্স প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা

ডাক্তার মহিউদ্দিন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন।
  • ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর সাধারণত ভাইরাসের আক্রমণে হয়ে থাকে। আর ভাইরাসের ওপর অ্যান্টিবায়োটিক কোন কাজ করতে পারেনা। তাই ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি-জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না।
  • চিকিৎসককে বলুন যে খুব প্রয়োজন না হলে যেন আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়।
  • ডাক্তার যতদিন না বলে ততদিন পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ বন্ধ করবেন না।
  • যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স একটি মহাবিপর্যয়। যা একবার হয়ে গেলে আর উপায় নেই। তাই সবার সময় থাকতে সচেতন ও সাবধান হওয়া জরুরি।

ইবাংলা/এসআরএস