রাজউকের উপ পরিচালক হয়ে ১৪ বছরের চাকুরীকালে ৭ বছর ছিলেন ওএসডি। চলেন হ্যারিয়ার গাড়ীতে। দেশি বিদেশি ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর থাকার অভিযোগ। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের প্লট, উত্তরা আবাসিক এলাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট। সবসময় সাথে নিয়ে চলেন আগ্নেয়াস্ত্র। সাথে থাকে ৩/৪ জন বডিগার্ড। তার অনিয়মের প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর কপালে জোটে পিস্তলের গুলিতে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকিসহ নানাবিধ নির্যাতন।
আরও পড়ুন…রাজউকের আতঙ্ক পিস্তল সোহাগ! (পর্ব)১
স্বনামে বেনামে গাড়ী বাড়ি ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন সোহাগ। টয়োটা হ্যারিয়ার যার নং ঢাকা মেট্রো ঘ ১৮-১৯০৮। সোহাগের নিজের মুখের বর্ননামতে ৫ কোটি টাকার এফডিআর, বসুন্ধারায় ৫ কাঠা জমির প্লট দৃশ্যমান।
ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা গেছে, একটি সুনামধন্য ডেভেলপার কোম্পানীকে সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও নানা ধরণের কাজ করে দেয়ার কথা বলে একই কোম্পানীর দুটি প্রজেক্ট থেকে নিয়েছেন ৪৪ লাখ টাকা। এরপরেও সোহাগের চাচাতো বোন আমেনা খাতুন লুনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন আরো দুই লাখ টাকা।
জানা গেছে বেলজিয়াম প্রবাসী মাহমুদা পারভীন নামক এক ভদ্র মহিলার একটি প্লটের রাজউক কর্তৃক দলিল করে দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে কোন দলিল করে দিতে পারেনি রাজউকের আতংক সোহাগ ওরফে পিস্তল সোহাগ।
আরও পড়ুন…অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাউজকের সবুজ-মলি!
রাজউকের উপ পরিচালক পদে চাকুরি করা অবস্থায় নানা দুর্নীতি আর সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচারন করার কারনে দীর্ঘ ৭ বছর ওসডি অবস্থায় থেকে মাত্র কয়েক মাস আসে একটি মহলকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল হন সোহাগ। সরকারি বেসরকারি ব্যবসায়ীদেরসহ নানা ব্যক্তিকে রাজউক থেকে প্লট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টদের অভিমত বর্তমানে যেখানে রাজউক চেয়ারম্যান নিজে কোন প্লট বরাদ্দ দিতে পারে না সেখানে সোহাগের মতো একজন উপ পরিচালক কিভাবে প্লট পাইয়ে দিতে পারে? রাজউকের চাকুরির সুবাদে তার অবৈধ কার্যক্রমের কারণে বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীগুলোকে নানাভাবে হয়রানী, ভয়বীতিসহ অহরহ হেনস্তা করে চলছে রীতিমতো। তার দাপটে রাউজকের অন্যান্য কর্মকর্তারা আতংকে থাকে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আরও পড়ুন…অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনকে ২৭ লাখ টাকা জরিমানা
এবিষয় জানতে মো: সোহাগ মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। তার কিছু সময় পরে একই নম্বর থেকে ফোন আসে এক নারী কণ্ঠে সোহাগের বোন পরিচয় দিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে কথা বলেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার চেষ্টা করেন।
তার কিছু সময় পরে সোহাগের ভাগিনা শাহ্ আলম শামীম পরিচয় দিয়ে ফোন করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দাবি করে সোহাগের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদককে নিউজ করতে নিষেধ করে এবং ছাত্রলীগের শরীফ নাম পরিচয় দানকারিও ফোন দিয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করেন। তবে, রাজউকের নানাবিধ অবৈধ কাজের কাণ্ডারি সোহাগ মিয়া ওরফে পিস্তল সোহাগের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তবে জনমনে প্রশ্ন তার এই অবৈধ শক্তির উৎস কোথায় ?
চলবে….
ইবাংলা/এইচআর/১৪ মার্চ-২০২৩