স্বাধীনতার মাসেই আরেকটি স্বপ্নজয়ের দ্বারপ্রান্তে পদ্মা সেতু। পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণযজ্ঞে বসাতে বাকি আর মাত্র একটি স্লিপার। মাত্র ৭ মিটারের স্লিপারটি সফলভাবে বসে গেলে শতভাগ সম্পন্ন হবে মূল সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরিভিত্তিতে বিমানে করে প্রয়োজনীয় একমাত্র স্লিপারটি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে। শিগগিরই এটি এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন… চিকিৎসকরা হাসপাতালেই পাবেন প্র্যাকটিসের সুবিধা
তিনি সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে বলেন, ছিদ্র ডিজাইন অনুযায়ী স্লিপারটি মিলছে না। রেললাইন নিখুঁতভাবে নির্মাণ একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। কিন্তু শেষ মুভমেন্ট জয়েন্টের বিশেষ এই স্লিপারটি যথাযথ না হওয়ায় দেরি হচ্ছে।
স্লিপারটি পৌঁছালে রবিবার (২৬ মার্চ) বাকি অংশের কংক্রিটিং হওয়ার কথা ছিল। ৭২ ঘণ্টা কিউরিংয়ের জন্য অপেক্ষার পর আগামী ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে পরীক্ষামূলক রেল চলবে ভাঙা পর্যন্ত। এর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেল সেতুতে মোট ৮টি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। এরমধ্যে ৭টি যথাযথভাবে স্থাপন হয়েছে। বাকি জয়েন্ট স্থাপন করা হলেও রেললাইন ঢালাই করার জন্য ও শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এই স্লিপারের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন… ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপন হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের স্টিলের স্লিপারগুলো ছাড়া বাকিগুলো কংক্রিটের তৈরি। কংক্রিটের সেসব স্লিপার তৈরির জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরনো রেল স্টেশনের পাশে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। শুধু সেতুর স্লিপারই নয়, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন তৈরি জন্য সব স্লিপার তৈরি করেছে এখানে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলে নতুন অধ্যায়ের সূচনা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী এক অধ্যায়ের শুরু করবে নতুন এই রেল নেটওয়ার্ক। এই রেল নেটওয়ার্ক পায়রা বন্দরের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইবাংলা/এইচআর /২৭ মার্চ ২০২৩