মানহীন ও নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বন্ধে আইনি কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। প্রসাধনী ব্যবসা করতে হলে ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবধকতা আরোপ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ সংসদে তোলা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন… বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলা: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে তোলেন। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে- কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে।
এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন, তাদেরও লাইসেন্স নিতে হবে। সেজন্য ওষুধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে। বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন… পদ্মা সেতু থেকে নয় মাসে আয় ৬০৩ কোটি টাকা
বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।
ইবাংলা/এইচআর/৬ এপ্রিল ২০২৩