আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এই আইনের সঠিক ব্যবহার ও জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন ‘এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ’ এ বৈঠকের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন… নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেট বন্ধ ঘোষণা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা বাতিল ও আটটি সংশোধনের সুপারিশ পাঠানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন,‘জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।’
‘টেকনিক্যাল নোট’-এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা ২১ ধারা বাতিল করে দিতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে; যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবজের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করব।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আরেকটি কথা হলো- একটি অভিযোগ করা হলো যে, পরিতোষ সরকার নামে একজনকে ৮ মাস নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে একটি গণমাধ্যমে আর্টিকেলও লিখে ফেললেন একজন। এটা জানার পর আমি খোঁজ নিলাম। জানলাম, তাকে ২০২২ সালের ২৭ এপিল মাসে হাইকোর্ট জামিন দেন এবং তিনি মুক্তি পান একই বছরের ৯ মে তারিখে।’
আরও পড়ুন… বিভিন্ন সময়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে
তিনি একটি দিনও নির্জন কারাবাসে ছিলেন না। যে পোস্ট দেওয়ার কারণে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল, তাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়িয়েছিল। তাই কারাগারের ভেতরেও আশঙ্কা থেকে তাকে আলাদা রাখা হয়েছিল। তবে সবার সকঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি আমি সামনে তোলার পরও কেউ ভুলটা স্বীকার করলো না।
মন্ত্রী বলেন, এই আইনটার কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে। একটা গোষ্ঠী আছে এই আইনটিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার করে। তারা এই আইন নিয়ে জনগণের কাছে যায় না। তারা ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস এবং জেনেভাতে গিয়ে বলে এই আইনটা খারাপ। তারা এখানে বলে না। কারণ তারা জানে যে, এখানে বললে হালে পানি পাওয়া যাবে না। এই আইনটি দিয়ে সংখ্যালঘুদের আঘাত রোধের জন্য নয়, এটি সারা দেশের জনগণের জন্য।’
ইবাংলা/এইচআর/১৫ এপ্রিল ২০২৩