প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সম্মেলন কক্ষ ছাড়লেন সালাউদ্দিন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর মুখ খুলেননি সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে আজ (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই সালাউদ্দিনের সাক্ষাৎ পেতে অপেক্ষা করতে থাকে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। পরবর্তীতে তিনি এসে সব প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সম্মেলন কক্ষ থেকে চলে যান।

গতকাল (শুক্রবার) ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার তথ্য জানানো হয়। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ফিফার ২০২০ সালের ‘কোড অফ এথিকস’র ১৩, ১৫ ও ২৪ নং নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন: দাম বেড়ে সোনার ভরি লাখ ছুঁইছুঁই

আবু নাঈম সোহাগকে শাস্তির বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিফা। ইতিমধ্যে চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকেও (এএফসি) পাঠানো হয়েছে।

এসবের পর আজ শনিবার শেষ বিকেলের দিকে বাফুফে ভবনে উপস্থিত হন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সালাউদ্দিন। কয়েকজন বাফুফে সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।

শুরুতেই সালাউদ্দিন বলেন, ‘একটা দুঃসংবাদের কারণে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি নিষিদ্ধ হয়েছেন। আপনারা যেমন খবরটি গতকাল পেয়েছেন, একই সময়ে আমিও জেনেছি। গতকাল কিছু ডকুমেন্ট পড়েছি, এখনও পুরো শেষ করতে পারিনি। যেহেতু সাসপেন্ড করেছে, এই ব্যাপারে যা করা দরকার আমরা করেছি।’

বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উল্লেখ করে এই শীর্ষ কর্তা বলছেন, ‘আমি জরুরি সভা করতে চেয়েছিলাম। সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ তিনজন দেশের বাইরে (কাজী নাবিল আহমেদ শুধু দেশের বাইরে আছেন, বাকিরা ঢাকার বাইরে) থাকায় করতে পারিনি। কালকে বোধহয় পৌঁছাবে। পরশু সভা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

আরও পড়ুন: জবিতে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি

পরক্ষণেই সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাদ বাকি অ্যাকশন কি যাবে, তার জন্য দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে। আজ ও কাল ফিফা বন্ধ, সোমবার খুলবে। এরপর ফিফার সেক্রেটারির সঙ্গে আলাপ করব। পরের দিন নিজেরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাব।’

ফিফা অনেক দিন থেকেই বিষয়টি তদন্ত করছে, সভাপতি হিসেবে তিনি জানতেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ওরা যখন জুরিখে (সুইজারল্যান্ডের) গেছে তখনই জানি, কিন্তু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতাম না। যেহেতু ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, তাই অফিসিয়াল হিসেবেই ধরেছি। জানতাম এথিকস কমিটি যখন এর পেছনে লেগেছে, তখন একটা কিছু করবেই।’

ইবাংলা/এসআরএস