আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন, এটা তদন্ত করা হচ্ছে। আগুন লেগেছে নাকি আগুন লাগানো হয়েছে? অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রমূলক কি না চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ বিএনপির ইতিহাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও মহানগর নেতাদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন… বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে মোটরসাইকেলে নিজ গন্তব্যে
রাতের অন্ধকারে বিএনপি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি যত ধরনের অপচেষ্টা করার তা-ই করছে। অগ্নিসন্ত্রাস কিংবা কালো ছায়া যেন বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আগুন নিয়ে খেলছে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি যে বা যারা কোনো কারণ ছাড়াই শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ২০০৬-০৭ কিংবা ওয়ান-ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেব না।
নেতাকর্মীদের কঠোর অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা প্রতিহত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত বাধাবিপত্তি কিংবা অপরাধী আসুক, আমরা প্রতিহত-প্রতিরোধ করব।
আরও পড়ুন… চারতলা ভবন ধসে পড়েছে চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে
সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিক্ষোভ-সমাবেশ, মানববন্ধন-পদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচি জনসম্মতি নিয়ে করতে পারেনি। বিএনপির কোনও আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। বিদেশিদের কাছে নালিশ করেই থেমে থাকেনি তারা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দেশে নিজেদের কোনো মানবাধিকার নেই, তারা অন্য দেশকে কীভাবে পরামর্শ দেবে? সংবিধানকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দেশে পরামর্শ ফরমায়েশি আমরা গ্রহণ করবো না। এ দেশের গণতন্ত্র যেভাবে চলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা এগিয়ে যাব।
ইবাংলা/এইচআর/১৯ এপ্রিল ২০২৩