টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সফল অস্ত্রোপচারের পর পুনীত রাজকুমারের দান করা দুই চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
মৃত্যুর আগে পুনীতের দান করা চোখে চার তরুণ-তরুণী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। গেল দুদিনে তিন পুরুষ ও একজন নারীকে ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালে তাঁদের সার্জারি হয়। বিধি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় রোগীদের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এ সার্জারি হয় এবং তা করা হয় বিনামূল্যে।
অভিনয় দক্ষতা এবং মানবিক গুণাবলী দিয়ে পর্দার বাইরেও তিনি ছিলেন মানুষের জীবনের নায়ক, ছিলেন তাদের ভরসার আশ্রয়স্থল। আকস্মিক হৃদরোগে গত ২৯ অক্টোবর অনেককে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কন্নড় সুপারস্টার পুনীত রাজকুমার। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন অঙ্গন। সমাজসেবার জন্য তিনি লাখো মানুষের মন জয় করেছিলেন। সবাই তাঁকে ভালোবেসে আপ্পু বলে ডাকত।
- পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবে। নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ভুজং শেঠি জানিয়েছেন, কর্ণাটক রাজ্যে এই প্রযুক্তি প্রথম বার প্রয়োগ করা হয়েছে, যেখানে চারজনকে চক্ষুদান করা হয়েছে।
২৯ অক্টোবর জিমে শরীরচর্চা করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পুনীত রাজকুমার। এর পর বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৩১ অক্টোবর সকালে বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হয় দক্ষিণ ভারতীয় এ তারকার। প্রয়াত অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইসহ অগণিত মানুষ।
পুতীন ২৬টি এতিমখানা, ১৬টি বৃদ্ধাশ্রম এবং ৪৫টি বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। তাতে এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী বিনাবেতনে পড়াশোনা করতো। পুনীতের মৃত্যুর পর সেই এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়েছেন তামিল অভিনেতা বিশাল কৃষ্ণ রেড্ডি।
- শিশু অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পুনীত রাজকুমার। ১২টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন; পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় অভিনয় করে কন্নড় সিনেমায় তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। প্রায় ২৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন পুনীত রাজকুমার। ছিলেন কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন অঙ্গন।
ইবাংলা/এইচ/০২ নভেম্বর, ২০২১