বিকল্প বিএনপি নিয়ে গুঞ্জন

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত, অতীতে বিএনপি করতেন কিংবা বিএনপির কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়- এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটছে। এ খবরে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে এ মেরুকরণ সংঘটিত হচ্ছে। এর আরেকজন প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা যুক্ত রয়েছেন তিনি হলেন কর্নেল অলি আহমেদ।

এছাড়াও বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, খুলনা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং পদাবনতি হওয়া এহসানুল হক মিলনসহ বেশকিছু বিএনপির নেতা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছেন এবং বিএনপির বর্তমান পরিণতির কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন>> তাপ কমাতে দুই লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ ডিএনসিসির

এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএনপিকে সংগঠিত করা এবং গোষ্ঠী এবং পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করার একটি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রোজার মাস থেকে এই তৎপরতা শুরু হয়। এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে নেতাদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপিপন্থী সুশীল সমাজের কোনো কোনো প্রতিনিধিও এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

এই মেরুকরণ নিয়ে বিএনপির আতঙ্কের প্রধান কারণ হলো এখন যারা দলের ভেতর রয়েছেন বা দলের ভেতরে কোণঠাসা বা নিষ্ক্রিয়, এমন কয়েকজন নেতাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

বিএনপির মধ্যে একাধিক নেতা বলেছেন, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যদি জোট হতো সেটি ড. কামাল হোসেনের জোটের চেয়ে ভালো হতো। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির নীতি চেতনা এবং আদর্শে বিশ্বাস করেন। তিনি জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কারণেই শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়া তাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন>> ৫ মামলায় মামুনুল হককে জামিন

তবে যে কারণেই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দেওয়া হোক না কেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকবে। এ কারণে বিএনপি এবার জোট গঠনের ক্ষেত্রে বারবার চিন্তাভাবনা করছে, নানামুখী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। বিএনপির এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই বিএনপিতে যারা বিভিন্নভাবে পরিত্যক্ত, কোণঠাসা এবং একসময় বিএনপি করতেন তারা বিএনপিকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবারতন্ত্রের হাতে বিএনপি জিম্মি হয়ে আছে এবং এই কারণে বিএনপির মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস অনাস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি থেকে বিএনপিকে মুক্ত করতে হবে এবং মুক্ত করার জন্য জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করা দরকার। তবে বিএনপির মধ্যে কারা কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

ইবাংলা/এসআরএস