সরকারকে যত দ্রুত বিদায় করা যায় তত দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ দেশে গণআন্দোলন সৃষ্টি করা। গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার (৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া দেশের সকল ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ভয় পায়। দেশের জনগণকে ভয় পায়।
আরও পড়ুন>> শেখ হাসিনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা কেউ বলতে পারবে না। একইসঙ্গে আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিএনপি যে বিভাগীয় কর্মসূচি দিয়েছিল এই সরকারের পুলিশ বাহিনী সরকারের পেটুয়া বাহিনী বাধা সৃষ্টি করেছে, সকল বাধা উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচি জনগণ সফল করেছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে একমাত্র দাবি এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করা। কোনো স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়েনি। তাই আজকে সকলের দাবি আগামী নির্বাচন হতে হবে শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। নির্বাচনগুলো প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এদেশের মানুষ আইয়ুব খানকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করেছে। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারকেও দেশের মানুষ গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করেছে। সময় অতি সন্নিকটে, এদেশের মানুষ আজকে ঐক্যবদ্ধ। ইনশাল্লাহ অনতিবিলম্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং এদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘তারা দুর্নীতি করে লুটপাট করে মেগা প্রজেক্টের নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল, আবার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি এই সরকার ঠেকাতে পারছে না। তাদের সিন্ডিকেট তাদের ব্যবসায়ীরা দেশের মানুষের পকেট থেকে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করার জন্য আজকে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আইনজীবী ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
ইবাংলা/এসআরএস